সি আর এম (CRM) কাকে বলে ? CRM Software কত প্রকার ও কী কী?

CRM মানে Customer Relationship Management অর্থাৎ গ্রাহক সম্পর্ক ব্যবস্থাপনা  এটি এক ধরনের software যা কোম্পানিগুলিকে তাদের গ্রাহকদের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরী করতে, সু সম্পর্ক বজায় এবং ব্যবসাকে উন্নত রাখতে সাহায্য করে।

আজ এই Article –  CRM সম্পর্কে সমস্ত তথ্য জানতে পারবেন,যেমন CRM কি?এটি কোন কাজে ব্যবহার করা হয়? কেন এর চাহিদা দিনদিন বাড়ছে, এর ভাগ ইত্যাদি।

আশাকরি এই Post থেকে সি আর এম সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবেন।

সিআরএম software কাকে বলে?what is CRM Software in Bangla

CRM এর full meaning হলো Customer Relationship Management. এটি একপ্রকার Software যা কোনো business কে উন্নত করতে ব্যবহার করা হয়  এই সফটওয়্যার দ্বারা Customer দের চাহিদা,তাদের পছন্দ,রুচি ইত্যাদি Information জানতে পারা এবং এর সাথে সাথে Customer দের ডাটা অর্থাৎ নাম,ঠিকানা,ফোন নম্বর,হোয়াটসআপ্প নম্বর,ই-মেইল,ইত্যাদি সমস্ত ডাটা গুলিকে এক জায়গায় সঞ্চিত করে রাখে এবং সময় সময় মত প্র্যতেক গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের চাহিদা বোঝার চেষ্টা করে। এই ভাবে ধীরে ধীরে এক সম্পর্ক গড়ে তোলে।
তাছাড়া গ্রাহক পরিসেবা উন্নত করার মাধ্যমে গ্রাহকদের সমস্যা দ্রুত সমাধান করা যায় এবং তাদের বিশ্বাস বজায় রাখা যায়।
এক কোথায় CRM সফটওয়্যার এমন এক টেকনোলজি যার সাহায্যে কোম্পানিগুলি গ্রাহকদের সাথে গভীর ও দীর্ঘস্থয়ী সম্পর্ক গড়ে তুলতে ও ব্যবসার কাজে ব্যবহার করা হয়।

CRM সফটওয়্যার কত প্রকার ও কি কি?- Types of CRM Software in Bangla

CCRM সফটওয়্যার তিন প্রকার –

  1. Operational CRM software (অপারেশনাল সি আর এম সফটওয়্যার)
  2. Analytical CRM software

(অনাল্যেটিকালসি আর এম সফটওয়্যার)

  1. Collaborative CRM software (কলাবোরেটিভসি আর এম সফটওয়্যার)

অপারেশনাল সি আর এম সফটওয়্যার (Operational CRM software)

Operational CRM একটি Management সফটওয়্যার যাকে প্রয়োগ করে গ্রাহকের সম্পর্কিত সমস্ত তথ্যকে ব্যবস্থিত করে ব্যবসার কাজে ব্যবহার করা হয়। গ্রাহকের কিছু তথ্য যেমন নাম, ই মেইল,ফোন নম্বর,তাদের পছন্দ, অনিচ্ছা ,ইত্যাদি সমস্ত আচরণকে সঞ্চিত করে রাখে।

সেই সব ভিত্তিতে কোম্পানির কিছু সদস্যের কাজ করে, এই অপারেশনাল সি আর এম (CRM) বিশেষভাবে বিক্রি,মার্কেটিং,ও গ্রাহকের সেবা এই তিন জিনিসের উপর কাজ করে।

বিক্রি(Sales): আগে সেলসম্যান লোকেরা বাড়ি-বাড়ি, দোকান –দোকান গিয়ে বির্ক্রী করত এবং তথ্য সংগ্রহ করত। কিন্তু এখন CRM আসার পর সব তথ্য অটোমেটিক ভাবে তথ্য সংগ্রহ করা যায়। কত জন ব্যক্তি পণ্য এর প্রতি আগ্রহ হয়েছে, কত জন নিয়েছে, কবে , কখন, কি পণ্য নিয়েছে ইত্যাদি। এমন্কিই পরবর্তী সময়ে করা নিতে পারে ইত্যাদি সব তথ্য এই CRM থেকে পাওয়া যায়।

মাকেটিং (Marketing): আগের একে একে করে গ্রাহকদের ইমেল পাঠাতে হত,বা sms পাঠাতে হত, কিন্তু এখন এই সফটওয়্যার সব নিজে ভাবে করতে পরে, এক সাথে কয়েক হাজার লোক কে ইমেইল পঠানো, কোন কোন ব্যক্তি কোম্পানির ওয়েবসাইট কে দেখেছে, করা আগ্রহ দেখিয়েছে ইত্যাদি সব ট্রাক করতে পারে এবং এক ডাটা তৈরী করত পারে।

গ্রাহক সেবা (Customer Service): আগে প্রতিটি গ্রাহকের সমস্যার জন্য আলদা ভাবে সমাধান দিতে হত,যার ফোকে অনেক সময় লাগত, কিন্তু এখন CRM দ্বারা গ্রাহকের প্রতিটি সমস্যার সমাধান তারা নিজে থেকে ওয়েবসাইট থেকে সমাধান করে নিতে পারে।শধু তাই নই এখন তো কৃত্রিম বুধিমত্তা বা AI চ্যাট এর মাধ্যমে সমস্ত সমাধান করা হয়।

উদাহরণ: HubSpot

Collaborative CRM software (কলাবোরেটিভ সি আর এম সফটওয়্যার)

কলাবোরেটিভ সি আর এম (Collaborative CRM) হলো এমিন এক CRM সফটওয়্যার যার  সাহায্যে কোম্পানির সমস্ত ব্যক্তি বা বিভিন্ন দলগুলি গ্রাহকের তথ্য কে এক সাথে ব্যবহার, তথ্যের বিশ্লেষণ ,ও তার উপর কাজ করতে পারে এবং গ্রাহকের সেবাকে আরো ভালো ও দ্রুত করতে পারে।

এক কথায় কোম্পানির বিভিন্ন পদের সদস্যেরা গ্রাহকের তথ্য এক্সেস এবং শেয়ার করতে পারে এই সফটওয়্যার মাধ্যমে।

Analytical CRM software (অনাল্যেটিকালসি আর এম ) 

Analytical CRM সফটওয়্যার কোনো কোম্পানি গ্রাহকের সমস্ত তথ্যকে analyze অর্থাৎ বিশ্লেষণ করে কাস্টমারের চিন্তাধারাকে আরো ভালো ভাবে বোঝার চেষ্টা করা হয় এবং তার সাথে সাথে বিক্রি,মার্কেটিং এর তথ্যকেও ভালো ভাবে বিশ্লেষণ করা হয়।

এই সফটওয়্যার এর প্রধান কাজ আছে যেমন,

Customer Behavior Analysis : যখন কোনো গ্রাহক কোম্পানির ওয়েবসাইট এ যায় এবং কোনো পণ্য সম্বন্ধ্যে কি কি জানতে চায়, তাদের পছন্দ,ইচ্ছা ইত্যাদি সমস্ত তথ্য এই সফটওয়্যার বিশ্লেষণ করে এক ডাটা তৈরী করে। এক ফলে প্রত্যেক গ্রাহকের ও তাদের পন্যের সম্বন্ধ্যে বিশ্লেষণ করে বিক্রি কে আরো বেশি বাড়িয়ে দেওয়া।

সম্ভাব্য মার্কেটিং: এটি ভবিষ্যত এ মার্কেটিং এর জন্য কাজ করে। যেখানে কোনো গ্রাহক তার ইচ্ছা – আচরণ, রুচি ইত্যদিকে Analyze করে ভবিষ্যত এর এক ডাটা তৈরী করা হয়, কোন কাস্টমার কোন পণ্য কিনতে পারে তার এক সম্ভবনা তৈরী করা হয় ও পরে সেই ডাটা থেকে মার্কেটিং করা হয়।

 

CRM সফটওয়্যার এর উদ্দ্যেশ্য বা সুবিধা গুলি কি?

CRM প্লাটফর্ম হলো এক ধরনের টেকনোলজি সফটওয়্যার যা যেকোনো ব্যবস্যাকে উন্নত করতে ও গ্রাহকদের সাথে সম্পর্ক রাখতে সহায়তা করে।

বর্তমান সময়ে CRM এর যেকোনো সফটওয়্যার খুবই জনপ্রিয় হয়ে গিয়েছে। ছোট ব্যবসা থেকে যেকোনো বড় বড় ব্যবস্যার ক্ষেত্রে কোম্পানি গুলি ভালো টাকা খরচা করছে। ভবিষ্যত-এ AI, Machine Learning মত উন্নত প্রযুক্তি আশাই এর ব্যবহার ও চাহিদা অনেক বেশি হবে।

CRM সফটওয়্যার এর প্রধান কিছু উদ্দ্যেশ্য গুলি হলো,

✔ গ্রাহকের তথ্য সংরক্ষণ :

CRM সফটওয়্যার সমস্ত গ্রাহকের যোগাযোগের সমস্ত তথ্য,তাদের পছন্দ, ক্রয়-বিক্রয় এর সমস্ত ইতিহাস,গ্রাহকের প্রক্রিয়া মত গুরুত্ব পূর্ণ তথ্যকে এই সফটওয়্যার সংরক্ষণ করে রাখে। যারফলে কোনো পণ্যের চাদিহা, মূল্য, সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া যায় এবং গ্রাহকের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরী করা যায়।

✔ ক্রয়-বিক্রয় এর ধরন উন্নত করা :

এই সফটওয়্যার ক্রয়-বিক্রয় এর পরিমান কে সঠিক ভাবে পর্য়াচলনা করতে সাহায্য করে। গ্রাহকের দ্বারা কোনো পন্যের বিক্রয়ের পূর্বাভাস,চাগিদা,ট্রাক,লিড তৈরী করা ইত্যাদি সমস্ত কাজ গুলি করা হয়।

✔ গ্রাহক সেবাকে আরোও  উন্নত করা:

CRM সফটওয়্যার দ্বারা গ্রাহকের কোনো সমস্যার সমাধান খুব সহজে ও দ্রুত করা সম্ভব হয়েছে। গ্রাহকেরা নিজের সমস্যা কোম্পানির ওয়েবসাইট থেকে যখন ইচ্ছা নিজ থেকে সমাধান করতে নিতে পারেন। এখন এ।আই (AI) দ্বারা সাধারণ কথাবার্তার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করার সুবিধা পাওয়া যায়।

✔ ডাটা বিশ্লেষণ ও তথ্য সংগ্রহ করা:

CRM সফটওয়্যার যেকোনো কোম্পানির সম্পর্কিত গ্রাহকের ডেটা বা তথ্য কে বিশ্লেষণ করতে সাহায্য করে। এছাড়া এই সফটওয়্যার এ আরো অনেক টুলস বা সুবিধা আছে যার সাহায্যে কোনো কাস্টমার এর চাহিদা, তার পছন্দ, নাম, ঠিকানা , ফোন নাম্বার ইত্যাদি সব তথ্যকে বিশ্লেষণ করা।

✔ কোম্পানির-সদস্যের সাথে সহযোগিতা উন্নত করা :

CRM সফটওয়্যার দ্বারা কোনো কোম্পানির বিভিন্ন দলের কর্মচারীরা একসাথে ও একই সময়ে গ্রাহকের তথ্য কে সেয়ার করতে, ও কাজ করতে পারে।

✔ খরচ কমানো : এই প্লাটফর্ম ব্যবহার করে ব্যবসাগুলো তাদের কাজের দক্ষতা বৃধি করে অপ্রয়োজনীয় খরচ নিয়ন্ত্রণ করে।

 

CRM সফটওয়্যার কিভাবে কাজ করে?- How Does CRM Work 

CRM সফটওয়্যার বিভিন্ন ধাপে ধাপে তার সমস্ত কার্যগুলি করে থাকে। এই সফটওয়্যার এর কাজ করার ধাপ গুলি হলো,

সর্বপ্রথম,

গ্রাহকের তথ্য সংগ্রহ (Customer Information): যখন কোনো নতুন বা পুরনো কাস্টমার কোনো পন্যের সম্বন্ধ্যে আগ্রহ দেখালে সেই কাস্টমারের সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য যেমন, নাম, মোবাইল নম্বর, তার চাহিদা, রুচি, আর্থিক অবস্থা ইত্যাদি সব তথ্য CRM সফটওয়্যার এ সুরক্ষিত রাখতে পারা যায়।

দ্বিতীয়ত,

লীড তৈরী (Lead Generate):

একটি কাস্টমার যখন কোনো কোম্পানির ওয়েবসাইট থেকে কোনো পন্যের সম্বন্ধ্যে জানতে চায় তখন তার কিছু তথ্য অর্থাৎ কাস্টমার এর নাম, তার রুচি,কোন জিনিসের বেশি আগ্রহ ইত্যাদি নিয়ে এক লিড তৈরী করা হয় যা পরবর্তী সময়ে সেই কাস্টমার সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে পন্যের বিক্রির সম্ভবনা বেড়ে যায়।

তৃতীয়,

বিক্রির মানেজমেন্ট :

এই CRM সফটওয়্যার কোম্পানির পন্যের বিক্রির সমস্ত মেনেজমেন্ট সহজেই করা হয়। কোনো পণ্য কবে,কি দামে, কোন মাসে ইত্যাদি সব মানেজমেন্ট এক সফটওয়্যার থেকে করা হয়। তা থেকে কোম্পানির সদস্যের ও কর্মচারীদের কাজের  দক্ষতা জানতে পারা যায় যে তারা সঠিক ভাবে কাজ করছে কি না।

চতুর্থ,

গ্রাহকের সেবা মেনেজমেন্ট:

কোনো পন্যের সম্বন্ধ্যে যদি কোন গ্রাহকের কোনো প্রকার অসুবিধা, সমস্যা সমাধান কাস্টমার সহজেই করতে পারে। কোম্পানি লিড থেকে সময় সময় মত সকল গ্রাহকের সাথে যোগাযোগ  করে এবং সকলের সমস্ত সমস্যার সমাধান দেয়। এখন AI ব্যবহার করে চ্যাট এর মত কথা বলার মধ্যমে সমস্যার সমাধান করে।

CRM ডেটা কী – What is CRM Deta?

CRM মানে গ্রাহক সম্পর্ক ব্যবস্থাপনাঅর্থাৎ Customer Relationship Management। এটি একটি উপায় যা কোম্পানিগুলি তাদের গ্রাহকদের সাথে ভাল সম্পর্ক তৈরি করতে পারে।

CRM ডেটা হল সমস্ত তথ্য যা একটি কোম্পানি তার গ্রাহকদের সম্পর্কে রাখে। এর মধ্যে থাকতে পারে:

গ্রাহকের তথ্য: নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, ইমেল ইত্যাদি।

ক্রয়ের ইতিহাস: গ্রাহক কী কিনেছেন, কখন কিনেছেন, কত খরচ করেছেন।

যোগাযোগের ইতিহাস: গ্রাহক কীভাবে কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করেছিলেন, তারা কী জিজ্ঞাসা করেছিলেন, কী উত্তর দেওয়া হয়েছিল।

আগ্রহ এবং পছন্দ: গ্রাহক কী পছন্দ করেন, কী পছন্দ করেন না, তিনি কী কিনতে চান ইত্যাদি তথ্য।

উদাহরণস্বরূপ: একটি মোবাইল ফোন কোম্পানি তার গ্রাহকদের সম্পর্কে যেসব ডেটা গুলি রাখে যেমন,কোন কোন Customer কোন মডেলের ফোন কিনেছে, কোন জিনিসপত্র কেনা হয়েছে, গ্রাহক কতবার কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করেছেন, পছন্দ , না পছন্দ ইত্যাদি।

কোম্পানি নতুন ফোন লঞ্চ করতে, অফার দিতে এবং গ্রাহকদের সমস্ত চাহিদা মেটাতে গ্রাহকের এই তথ্য গুলি ব্যবহার করে।

সহজ কথায়, CRM ডেটা হল সমস্ত তথ্য যা একটি কোম্পানিকে তার গ্রাহকদের আরও ভালভাবে বুঝতে এবং পরিষেবা দিতে সাহায্য করে।

Read More
srhira10 October 16, 2024 0 Comments

ERP সফটওয়্যার কি? কেন এবং কিভাবে কাজ করে ?

ইআরপি হল এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স প্ল্যানিং এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এই সফটওয়্যার টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এর বিভিন্ন কাজ করতে সহায়তা করে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করতে সহায়তা করে এবং একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন বিভাগ গুলোর মধ্যে প্রযুক্তির মাধ্যমে সংযোগ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। একটি ইআরপি সফটওয়্যার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এর আমূল পরিবর্তন ঘটিয়ে দিতে পারে এবং বিজনেসের এর উৎপাদন ক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি করতে পারে। সুতরাং ইআরপি সফটওয়্যার বর্তমানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি সফটওয়্যার বলাই যায়। আজকে আমরা ইআরপি সফটওয়্যার সম্পর্কে বিভিন্ন জিনিস জানবো যেমন erp সফটওয়্যার কী? কেন এবং কীভাবে কীভাবে কাজ করে?  ইআরপি সফটওয়্যার কোথা থেকে পাওয়া যায়, ইআরপি সফটওয়্যার ব্যবহার করার প্রয়োজনীয়তা ইত্যাদি আমরা আজকে জানবো।

ERP সফটওয়্যার কি?

সহজ কথায় বলতে গেলে, ERP সফটওয়্যার হচ্ছে এমন এক ধরনের সফটওয়্যার যা একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন কাজ গুলো অটোমেটিক করতে সহায়তা করে এবং এর বিভিন্ন ফাংশন গুলো ও পরিচালনা করতে সহায়তা করে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলোর জন্য এই সফটয়্যার ইতিমধ্যেই অনেক কার্যকরী এবং কর্মক্ষম হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।

ERP সফটওয়্যার ব্যবহার করার প্রয়োজনীয়তা

ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আধুনিকায়নে সহায়তা করে

বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ। কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যদি বর্তমান যুগে প্রাচীনকালের মত রেকর্ড বড় বড় রেকর্ডবুক মেইনটেইন করে ব্যবসা করতে চাই তবে তাদেরকে প্রভূত সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। এক্ষেত্রে ইআরপি সফটওয়্যার সহায়তা করতে পারে। এই সফটওয়্যার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কার্যক্রম আধুনিক করতে সহায়তা করবে। যার ফলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পাবে।

প্রযুক্তির সাহায্যে বিভাগ গুলোর মধ্যে সংযোগ বৃদ্ধি

যে কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান একাধিক বিভাগ থাকে। এই সফটওয়্যার টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এর একাধিক বিভাগ গুলোর মধ্যে যেন সঠিক সমন্বয় হয় তা সুনিশ্চিত করতে সহায়তা করবে। প্রযুক্তির যথার্থ ব্যবহারের মাধ্যমে সফটওয়্যার এই কাজ করবে।

একসাথে কয়েকজন এর কাজ করতে পারা

একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান প্রায়ই দেখা যায় যে বিভিন্ন কাজের মধ্যে সমন্বয়ের খুবই প্রয়োজন হয় যা পূর্বে বলা হয়েছে। এই সফটওয়ারের মাধ্যমে এটাও নিশ্চিত করা হবে যে একসাথে যেন একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী তাদের সমন্বয় সঠিক করতে পারে এবং একসাথে একটি কাজ কয়েকজন মিলে করতে পারে।

সহজভাবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা

সফটওয়্যারটি এমনভাবে ডেভেলপ করা হয়েছে যেন যে কেউ সফটওয়্যার টি ব্যবহার করতে পারে খুব সহজেই। এই সফটওয়ারের সাহায্যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলো খুব সহজেই পরিচালনা করা যাবে।

তথ্য প্রাপ্তির নিশ্চয়তা

অনেক সময় দেখা যায় যে তথ্য নিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। যেমন কোন কোন সময় হয়তো কোন কোন বিভাগ এ তথ্যগুলো হালনাগাদ করা হলো না সে ক্ষেত্রে এর ফল অন্য বিভাগ কেও ভোগ করতে হয়। এরকম তথ্য প্রাপ্তির সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যার যেন সহজেই সমাধান করা যায় এটার জন্য এই সফটওয়ারের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে যে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বা অফিসের বিভিন্ন বিভাগ গুলো তাদের তথ্যগুলো হালনাগাদ করার সাথে সাথে অন্যান্য বিভাগ গুলো সেই হালনাগাদ করা তথ্য গুলো পেয়ে যায়।

টার্গেট সেট করা

erp সফটওয়ার এর সাহায্যে একটি অফিস এর বিভিন্ন বিভাগ গুলোর বিভিন্ন টার্গেট সেট করার দেয়া যেতে পারে। যার ফলে তারা তাদের কাজগুলো করতে উদ্বুদ্ধ হবে এবং তারা তাদের কাজগুলো কত ভাগ সম্পন্ন করতে পারলে তাও দেখা যাবে।

স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ পরিচালনা করা

এই সফটওয়ারের মাধ্যমে এটাও সুনিশ্চিত করা হবে যেন যত বেশি সম্ভব কাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালনা করা যায়। স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ পরিচালনা করার ফলে কাজ গুলো তুলনামূলক ভাবে আরো দ্রুতগতিতে করা সম্পন্ন হবে।

নিখুততা নিশ্চিত করা

এই সফটওয়্যার কাজের ক্ষেত্রে নিখুততা নিশ্চিত করবে। যেহেতু এ সফটওয়্যার অনেকগুলো কাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালনা করা হবে এবং এর মাধ্যমে যে সকল কাজ করা হবে সেই সকল কাজে সফটওয়্যার টি শতভাগ নিখুততা  নিশ্চিত করবে।

কোথায় পাওয়া যাবে ERP সফটওয়্যার

ইআরপি সফটওয়্যার এর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করার পর হয়তো আপনি আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বা অফিস এর জন্য এ সফটওয়্যারটি নিতে চান। আপনি চান যে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং অফিসের উৎপাদনশীলতা এবং কর্মীদের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি হোক। আপনি ইআরপি সফটওয়্যার টা আমাদের কাছে নিতে পারেন।

এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে আপনি আমাদের কাছ থেকে কেন নিবেন যেখানে এতগুলো কোম্পানি আছে যারা ইআরপি সফটওয়্যার সাপ্লাই দেয়? আমাদের কাছ থেকে আপনি নিতে পারেন কারণ আমাদের যে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট টিম আছে তারা অত্যন্ত সুদক্ষ, অভিজ্ঞ এবং কর্মঠ। আমাদের সফটওয়্যার ডেভলপমেন্ট টিম অত্যন্ত দক্ষতার সাথে এ সফটওয়্যারটি ডেভেলপ করেছে।

পাশাপাশি আপনি আমাদের কাছ থেকে ইআরপি সফটওয়্যার এর জন্য একটি ডেমো ট্রাই করতে পারেন। ডেমো ট্রাই করার পর যদি আপনার পছন্দ হয় তবে আপনি এই সফটওয়্যারটি আমাদের কাছ থেকে নিতে পারেন।

বর্তমান যুগে যে যত বেশি প্রযুক্তির যথার্থ ব্যবহার করতে পারবে সে ব্যবসার ক্ষেত্রে তত এগিয়ে যাবে। বর্তমানে সমস্ত বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন রকম সফটওয়ারের সাহায্যে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। সফটওয়ারের এত জনপ্রিয়তার মূল কারণ হচ্ছে এর স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করার ক্ষমতা।

আপনিও যদি চান আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা অফিসের কর্মদক্ষতা এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে তবে আমাদের পক্ষ থেকে আপনার প্রতি পরামর্শ থাকবে ERP সফটওয়্যারটি ব্যবহার করার। এই সফটওয়্যার সংক্রান্ত যেকোনো প্রশ্নের জন্য আপনি আমাদেরকে বলতে পারেন। আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এর ডিজিটাল হেল্পিং টুল হতে পারে এই ইআরপি সফটওয়্যার।

Read More
srhira10 October 16, 2024 0 Comments

ওয়েবসাইট বানানোর খরচ। কম খরচে ওয়েবসাইট তৈরী করুন।

আপনি কি আপনার ব্যবসা- বাণিজ্য, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিংবা অন্য যে কোন সামাজিক কাজের প্রচার ও প্রসারের জন্য এবং সহজেই আপনার কাঙ্খিত গ্রাহক অথবা শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকট পৌঁছাতে ওয়েবসাইট বানাতে চাচ্ছেন? তাহলে প্রথমেই আপনার যে চিন্তাটি মাথায় আসবে তা হলো ওয়েবসাইট বানানোর খরচ কত ? আমরা আজকের পোস্টে সে বিষয়েই আলোচনা করবো ইনশা আল্লাহ। এই পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন আশা করি ওয়েবসাইট বানানোর খরচ এবং এর গাইডলাইন সম্পর্কে আপনার ধারণা পরিষ্কার হয়ে যাবে।

 ওয়েবসাইট কি :

আপনি এখন যে পেইজ এর মাধ্যমে যেভাবে এই লেখাটি পারছেন সহজ কোথায় এটিরে সমষ্টিই একটি ওয়েবসাইট।  অন্য কোথায় ওয়েবসাইট বলতে বুঝায় ওয়েব সার্ভারে রাখা অনেক তথ্যের একক সমষ্টি যেখানে অডিও, ভিডিও, ছবি কিংবা লেখার পৃষ্ঠা থাকে।  কোন ব্যক্তি যখন উক্ত বিষয়ে কোন সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করে বা সরাসরি তার ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব এড্রেসের মাধ্যমে ব্রাউস করে তখন উক্ত ব্যক্তির সামনে তথ্য করে তা প্রকাশ করে।

বর্তমান সময়ে ওয়েবসাইটের প্রয়োজনীয়তা :

আধুনিক ইন্টারনেটের যুগে সবকিছুতেই এসেছে প্রযুক্তির ছোয়া। স্মার্ট মোবাইল, ৩ জি কিংবা ৪ জি ইন্টারেন্টের প্রসারের ফলে এখন প্রত্যন্ত গ্রামঞ্চলেও মানুষ ইন্টারনেট ব্রাইউজিংয়ের সুবিধা পাচ্ছে।  আর এর ফলেই সমস্ত দুনিয়া যেন মানুষের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। ব্যাবসা, বাণিজ্য, শিক্ষা, যোগাযোগ সকল ক্ষেত্রেই মানুষ এখন ইন্টারনেটের উপর নির্ভরশীল।  আর এই ইন্টারনেট এর উপর নির্ভরশীলতা মানুষের এমন পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে যে খাবার, যোগাযেগ, বিনোদন, শিক্ষা ও সংস্কৃতি থেকে শুরু করে দৈনন্দিন জীবনের প্রায় সকল কিছুই কোন না কোনভাবে ইন্টারনেটের সাথে জড়িত। এই যেমন দিনের একটা সময় অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুক, ইউটিউব এ ব্যায় করে.তাছাড়া কোন তথ্য জানার জন্য বা কোন পণ্য কেনার ক্ষেত্রে বা সেবা গ্রহণের পূর্বেও ইন্টারনেটে সার্চ করে সেই পণ্য বা সেবা সম্পর্কে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করে। তাছাড়া বর্তমানে ই কমার্স এর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। মানুষ এখন কিছু অর্থ ব্যয় করে হলেও ঘরে বসে ঝামেলাবিহীন সেবা নিতে আগ্রহী। যার ফলে   ক্রমেই বাড়ছে ওয়েবসাইটের প্রয়োজনীয়তা।

যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে না পারলে আপনি অবশ্যই আপনার কম্পিটিটরদের থেকে পিছিয়ে যাবেন এবং আস্তে আস্তে লসের দিকে চলে যাবেন। আর তাছাড়া পণ্য বা সেবা প্রদানকে আরো সহজ ও সুন্দর করতে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর করতে এবং সহজেই গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য বর্তমান সময়ে ওয়েবসাইটের প্রয়জোনীয়তা অপরিসীম।

কিভাবে ওয়েবসাইট বানানো যায়

ওয়েবসাইট বানানোর কয়েকটি উপায় আছে. আপনি নিজে যদি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট জানেন তো নিজে তৈরী করতে পারেন। তা না হলে ফ্রিল্যান্সার ভাড়া করে তাদের দিয়ে আপনার চাহিদা অনুযায়ী ওয়েবসাইট বানিয়ে নিতে পারেন।  ফ্রিলেন্সারদের অনেক মার্কেটপ্লেস আসছে যেমন ফাইবার, আপওয়ার্ক, পিপল পার যাওয়ার, ফ্রিল্যান্সার ডট কম। তাছাড়া আরো অনেক মার্কেট প্লেস আছে যে জায়গা থেকে আপনি আপনার চাহিদামতো ফ্রিল্যান্সার হায়ার করতে পারেন তবে এক্ষেত্রে আপনার ঐসব মার্কেটপ্লেস একাউন্টে ডলার লোড করার মতো মাস্টার কার্ড বা পেপাল থাকতে হবে।  যা বাংলাদেশিদের জন্য একটা প্রতিবন্ধকতা। এর অনেকেই মার্কেটপ্লেস থেকে ফ্রিলেন্সার হায়ার করে কাজ করতে পারেনা। তাছাড়া আরেকটা সময় হলো ফ্রিলেন্সারদের সাথে যোগাযোগ করা বা তাদেরকে সঠিক ভাবে বুঝিয়ে সঠিক কাজ আদায় করে নেওয়া।  যা অনেকের পক্ষেই সম্ভব না।

ওয়েবসাইট বানানোর সবথেকে ভালো এবং নির্ভযোগ্য মাধ্যম হচ্ছে দেশীয় ডেভেলপমেন্ট কোম্পনি যারা ওয়েবসাইট ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট সার্ভিস দিয়ে থাকে।  যাদের থেকে আপনি সহজেই আপনি কি চাচ্ছেন তা বুঝিয়ে আপনার কাঙ্ক্ষিত ওয়েবসাইট বাণীতে নিতে পারবেন। যা বাংলাদেশিদের জন্য অনেক সহজ।  এই যেমন আমরা “SmartSolution.dev” বিগত দশ  যাবৎ অত্যন্ত গৌরব ও নিষ্ঠার সাথে দেশের অনেক নতুন স্টার্টআপ থেকে শুরু করে প্রতিষ্ঠিত অনেক মাল্টিন্যাশনাল কোম্পনির সাথেও কাজ করে আসছি।  তাদের ওবেস সাইট ডিজাইন থেকে শুরু করে ডেভেলপমেন্ট, ওয়েবসাইট ম্যানেজম্যান্ট ব্যবসার প্রসার ও মার্কেটিং এর কাজ করে আসছি। আপনি খুব সহজেই ও সাশ্রয়ী দামে আমাদের থেকে ওয়েবসাইট তৈরী করে নিতে পারেন।

 ওয়েবসাইট বানানোর খরচ :

এবার আসা যাক মূল বিষয়বস্তুতে। আপনি নিশ্চয় ওয়েবসাইট বানানোর খরচ সম্পর্কে জানতে ধৈর্য ধরে পুরো পোস্টটি পড়েছেন। যারা এই সেক্টরে নতুন তাদের কে অবশ্যই উপরের বিষয়গুলো পরিষ্কার ভাবে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি কারণ হুট্ করে কোথাও থেকে ওয়েবসাইট এর সার্ভিস নিতে গেলে প্রতারিতও হতে পারেন উক্ত বিষয়গুলো না জানা থাকলে।  আর উপরের বিষয়গুলো এই আটিকেলের মূল বিষয়বস্তুর সাথেও জড়িত। নিচে ওয়েবসাইট বানানোর খরচ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে দেওয়া হলো:

#মার্কেটপ্লেস থেকে আপনি আওয়ারলি বা ঘন্টা প্রতি ফ্রিল্যান্সার হায়ার করতে পারেন বা প্রজেক্ট ভিত্তিক। যেমন মিডিয়াম লেভেলের ডেভেলপার প্রতি ঘন্টায় ১০ ডলার থেকে ২০/২৫ ডলার ও চার্জ করে থাকেন। তাছাড়া প্রজেক্ট ভিত্তিক ভাবে আপনার চাহিদার উপর নির্ভর করে ফ্রিল্যান্সাররা প্রাইস নির্ধারণ করে থাকে।  নরমালি ওয়ার্ডপ্রেস সাইট ডেভেলপমেন্ট এর জন্য মার্কেটপ্লেসে ৩০০ ডলার থেকে আরো বেশি প্রাইস চেয়ে থাকে।  কারণ তাদের আর্নিং এর একটা অংশ আবার মার্কেটপ্লেস তাদের পার্সেন্টেজ হিসেবে কেটে রাখে।  এছাড়া অন্যান্য সিএমএস বা প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ দিয়ে একদম শূন্য থেকে তারা সাইট বিল্ড করে দিতে ১০০০ ডলার থেকে আরো বেশি চার্জ করে থাকে।

দেশি এজেন্সি (smartsolution.dev) থেকে  ওয়েবসাইট বানানোর খরচ :

ওয়েবসাইট সার্ভিস নেওয়ার পূর্বে আপনাকে ঠিক করতে হবে  কোন  ধরণের ওয়েবসাইট বানাতে চাচ্ছেন। ওয়ার্ডপ্রেসে এক ধরনের প্রাইস এবং অন্য সিএমএস এ আরেক ধরণের প্রাইস।  যারা টেকনিক্যাল ব্যাকগ্রাউন্ডের বাইরের লোক তাদের জন্য ওয়ার্ডপ্রেস সাইট ম্যানেজম্যান্ট করা সহজ।  কারণ এতে নানান ধরণের থিম এবং প্লাগিন ব্যবহার করে আপনার ইচ্ছামত সহজেই কাস্টমাইজেশন করে নিতে পারবেন। সাধারণত ওয়ার্ডপ্রেসে সাইট বানাতে আমরা “SmartSolution.Dev” সর্বনিম্ন ২০,০০০ টাকা চার্জ করে থাকি।  বাকিটা আপনার চাহিদার উপর নির্ভর করবে।

এছাড়াও আপনার চাহিদার উপর নির্ভর করে বিভিন্ন লেঙ্গুয়েজেও সাইট বানিয়ে নিতে পারেন। যেগুলোর দাম আপনার চাহিদা ডেলিভারির টাইমফ্রেম ইত্যাদি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। আপনার চাহিদামতো সাইটের দাম জানতে জাস্ট আমাদের একটা কল করুন এই নাম্বারে।

Read More
srhira10 October 16, 2024 0 Comments

বাংলাদেশে ই-কমার্স ব্যবসা শুরুর আগের গাইডলাইন সমূহ

বাংলাদেশে ই কমার্স ব্যবসা শুরু করার জন্য পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন সম্পর্কে যারা জানতে আগ্রহী, তাদের জন্য আজকের এই লেখাটি।এখানে আলোচনা করবো প্রথম পর্যায়ে যেসব দিকনির্দেশনা অনুসরণ করে ই কমার্স ব্যাবসা শুরু করবেন।

আপনার মাথায় কি ই-কমার্স ব্যবসা কোন প্রক্রিয়ায় শুরু করবেন এবং কিজন্য করবেন এই বিষয়গুলি ঘুরপাক খেতে থাকে? আপনি যেই ব্যবসাটাই করুন না কেন প্রতিটা ব্যবসার ক্ষেত্রে একটি কথা থাকে আর সেটি হল “রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট”। একটা সত্য কথা হলো, একজন উদ্যোক্তার জীবনে যেমন সফলতার অনেক গল্প থাকবে তেমনি অনেক অসফলতার গল্পও থাকবে।এটাই স্বাভাবিক।

কিন্তু আপনি যদি ব্যবসা শুরুর আগে ভালোমতো রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট করতে না পারেন এবং ব্যবসা শুরু করার পরেও ব্যবসা চলাকালীন সময়ে আপনি সঠিকভাবে এই রিসার্চকে প্রয়োগ করতে না পারেন, তাহলে আপনার ব্যবসায় সফল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।আচ্ছা, তাহলে চলুন জেনে নেওয়া নিই বাংলাদেশে ই-কমার্স ব্যবসার শুরুর গাইডলাইনঃ

১।মানসিক প্রস্তুতি

আপনি ব্যাবসা করুন বা অন্য যে কোনো কাজই করতে চান তাহলে, আপনার মানসিক প্রস্তুতি সবার আগে শক্ত করতে হবে। কারন আপনার ব্যবসা বা কাজের মধ্যে হাজার ধরনের বাধা বিপত্তি আসতেই পারে। এজন্য মানসিকভাবে আপনাকে প্রস্তুত থাকতে হবে। তাই কোনো বড় কাজ শুরু করতে হলে অবশ্যই মানসিকভাবে প্রস্তুত হয়ে নিতে হবে সেই কাজটির জন্য।

২।নামকরণ :
আপনার ই-কমার্স ব্যবসায় সফলতা পেতে হলে প্রতিষ্ঠানের নামকরণ টা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার। আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম খুবই আকর্ষণীয় হতে হবে যাতে মানুষ খুব সহজেই আপনার ব্যবসাটি খুঁজে পায়। এই জন্য উচ্চারণে সহজ ও ইউনিক একটি নাম দিতে হবে আপনার ব্যবসার। যাতে মানুষ সেটা মনে রাখতে পারে ও খুব সহজে নামটি বলতে পারে।

ডোমেইনটি ফাঁকা আছে কিনা এই বিষয়টি নাম সিলেক্ট করার সময় অবশ্যই আপনাকে খুঁজে নিতে হবে। আর সেই নামটি যদি ফাঁকা না থাকে তাহলে ওই নামের সাথে মিল রেখে অন্য একটি ইউনিক নাম আপনাকে খুঁজে নিতে হবে।গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নামটি অবশ্যই আপনার প্রোডাক্টের সাথে সম্পর্কৃত হতে হবে। আপনার ই- কমার্স প্রতিষ্ঠানের নামটি যত ছোট হবে ততই আপনার ব্যবসার জন্য তা ভালো হবে।

৩।আইনি কিছু কার্যাবলী:
আপনার ই-কমার্স বিজনেসটার জন্য অবশ্যই ট্রেড লাইসেন্স এবং ব্যবসায়িক বৈধতার সার্টিফিকেট লাগবে। অনেক কাজের ক্ষেত্রে আপনার এটা প্রয়োজন হবে। যেমন ধরুন আপনি অনলাইনের মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে গেলে এটি লাগবে। এছাড়াও আরো বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে আপনার ব্যবসার প্রমাণ দিতে হতে পারে।তখন এসব কাগজপত্রগুলো অবশ্যই লাগবে।

৪।প্রোডাক্ট সিলেক্ট করা:
আপনার ই কমার্স ব্যবসায় সফল হতে হলে মানুষের চাহিদা মাফিক, সঠিক প্রোডাক্টটি নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনাকে অবশ্যই কাস্টমারদের ডিমান্ড এবং প্রোডাক্ট এর সহজলভ্যতার দিক চিন্তাভাবনা করে প্রোডাক্টগুলো নির্বাচন করতে হবে।বর্তমানে আমাদের দেশে অনেক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।তাই আপনার প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা কিছুটা কঠিন ও চ্যালেন্জিং হবে। আর তাই, আপনাকে এমন কিছু প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে যেন মানুষ শুরুতেই প্রোডাক্টটি কিনতে আগ্রহী হয়। সাধারণত প্রোডাক্টের অনেক ক্যাটাগরি থাকে।আপনি সেখান থেকে যেকোনো একটি ক্যাটাগরি নির্বাচনক করুন। প্রথমদিকেই আপনি অনেক ধরনের প্রোডাক্ট নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে যাবেন না।আপনাকে প্রথম অবস্থায় অল্পকিছু প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করে আগে মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে হবে।তাই এই ক্ষেত্রে আপনাকে খুবই ভালভাবে রিসার্চ করতে হবে যে কোন প্রোডাক্টের চাহিদা অনেক বেশি কিন্তু সাপ্লাই অনেক কম। আপনাকে সেই ধরনের প্রোডাক্টগুলো নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে।

৫।প্রোডাক্ট সোর্স:
আপনি কোন ধরনের প্রোডাক্ট সিলেক্ট করছেন তার উপর ভিত্তি করে প্রোডাক্ট এর সোর্স খুঁজতে হবে। আর এর জন্য আপনাকে সবথেকে বেশি খেয়াল রাখতে হবে প্রোডাক্ট এর দামের প্রতি। আপনি যত কম খরচে আপনার প্রোডাক্ট গুলো সংগ্রহ করতে পারবেন আপনি তত বেশি বেনিফিটেড হবেন।আপনি কম দামে কেনা পন্যটা কম দামে বিক্রি করতে পারবেন, এতে আপনার বিক্রি বাড়বে। আপনাকে যদি দেশের সকল উন্নত সব ই কমার্স প্রতিষ্ঠান সাথে তালে তাল মিলিয়ে টিকে থাকতে হয় তাহলে অবশ্যই প্রোডাক্ট সংগ্রহের ব্যাপারে মনোযোগী হতে হবে। একদম মূল সোর্স থেকে প্রোডাক্ট সংগ্রহ করুন।

৬।ডেলিভারি:
সঠিক সময়ে প্রডাক্ট ডেলিভারি হলে আপনারা খুব সহজেই কাস্টমারের মন জয় করতে পারবেন। কাস্টমার যেন খুব দ্রুত এবং অক্ষতভাবে প্রডাক্টটি হাতে পায় সেদিকে ফোকাস করতে হবে সবার আগে। যদি এই কাজটাতে ব্যর্থ হন তাহলে রিটার্ন কাস্টমার পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে এবং নিউ কাস্টমার যারা রয়েছে তাদের সংখ্যাও ধীরে ধীরে কমতে থাকবে। আর এই ক্ষেত্রেও আপনাকে দেখতে হবে যেন সর্বনিম্ন খরচে উন্নত এবং বেস্ট সার্ভিস তাদের দেওয়া যায়। আর এর জন্য আপনি কুরিয়ার সার্ভিসের কোম্পানিগুলোর শরনাপন্ন হতে পারেন। অনেক কুরিয়ার প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা অন্যের পণ্য ডেলিভারি করে থাকে।আপনাকে আরো গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ করতে হবে। সেটি হলো অর্ডার লোকেশন নোট।এটির মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন কোন এলাকায় বা লোকেশনে আপনার পন্যের চাহিদা বেশি।এটা আপনার ব্যাবসায়িক সিদ্ধান্ত গ্রহনে সাহায্য করবে।

৭।পেমেন্ট সিস্টেম :
আপনার প্রোডাক্ট ক্রয়ের পর কাস্টমাররা কোন মাধ্যমে পেমেন্ট করবে সেটার ব্যবস্থা আপনাকে করে দিতে হবে। বর্তমানে অনেক অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম বিদ্যমান। যেমন নগদ,রকেট বিকাশ এবং ব্যাংক সহ আরো অনেক সিস্টেম।এদের মধ্য থেকে আপনাকে একাধিক অপশন সিলেক্ট করতে হবে যার মাধ্যমে কাস্টমার খুব সহজেই আপনার ওয়েবসাইট থেকে পণ্য কেনার মাধ্যমে পেমেন্ট করে দিতে পারবে।

৮।অনলাইন মার্কেটিং:
অনলাইন মার্কেটিং বলতে এখানে বুঝানো হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া এবং ওয়েবসাইট কেন্দ্রীক পন্যের প্রচারনা। অনলাইন জগতের সবগুলো ওয়েতে আপনার পন্যের প্রচারনা চালানো উচিত।কথায় আছে প্রচারই প্রসার। আপনার টুইটার, ইনস্টাগ্রাম,ফেসবুক, ইউটিউব সহ সব ধরনের অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে পন্যের প্রচারনার জন্য।আপনার অন্তত একটি ফেসবুক পেজ ও ওয়েবসাইট থাকা জরুরি।কারণ,এই দুই পদ্ধতিতে পন্যের প্রচারনা বেশি ভালোভাবে করতে পারবেন।আপনার ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের নামে একটি ফেসবুক পেজ খুলে ফেলুন এবং আপনার প্রোডাক্টগুলো সেই ফেসবুক পেজে নিয়মিত আপলোড করতে থাকুন। তারপর আপনি নিয়মিত এর কিছু ভিডিও বানাতে থাকুন এবং ফেসবুক পেজ, ইউটিউব চ্যানেলে ও ওয়েবসাইটে সেগুলো আপলোড করতে থাকুন। আপনি চাইলে আপনার ফেসবুক পেজের ভিডিও বা আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও গুলো খুব তাড়াতাড়ি মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য সেগুলো বুষ্টও করাতে পারেন।তবে এই ক্ষেত্রে একটা কথা না বললেই নয়, সেটা হচ্ছে শুধু বুষ্ট করলেই হবে না কোয়ালিটি সম্পন্ন বুস্ট করতে হবে। এর জন্য আপনাকে সুন্দর করে ব্যানার ডিজাইন করতে হবে, সুন্দর করে আকর্ষণীয় কনটেন্ট লিখতে হবে এবং আপনার টার্গেট অডিয়েন্স রিসার্চ করে বের করে তাদেরকে টার্গেট করে বুষ্ট করতে পারেন।

তবে ব্যবসার পাশাপাশি এসব কাজ করা খুব ঝামেলার মনে হতে পারে তাই আপনি এসব কাজগুলো একজন প্রোভাইডার এর নিকট হস্তান্তর করতে পারেন। সে এসব দেখাশোনা করবে।

৯।আপনাকে টিম বিল্ড করতে হবে:
ব্যবসার প্রথম প্রথম আপনার কাস্টমার কম থাকবে। তখন আপনি নিজে একা একাই সব কাজগুলো সব করতে পারবেন। কিন্তু আপনার ব্যবসার পরিধি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনার একার পক্ষে এসব কাজগুলো করা সম্ভব হবে না।

আর এজন্য আপনাকে অবশ্যই দক্ষ একটি টিম বিল্ড করতে হবে। কেননা আপনি একা একা কাজ করে যতদূর না যেতে পারবেন তার চেয়ে বেশি উন্নতি করতে পারবেন একটি সফল টিম বিল্ডের মাধ্যমে। আর এজন্য আপনি বিশ্বস্ত সব সহযোদ্ধাদের খুঁজে বের করে তাদেরকে আপনার টিম মেম্বার বানিয়ে নিন।

পরিশেষে, বর্তমানে ই-কমার্স ব্যবসার পরিধি ক্রমচ বেড়েই চলেছে। প্রতিযোগিতার এই বিশ্বে ই-কমার্স ব্যবসায় সফল হতে হলে অবশ্যই আপনার ব্যবসাকে সবসময় আপডেট রাখতে হবে।

আমাদের আর্টিকেলটি যারা মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ পড়েছেন তারা অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন বাংলাদেশে ই-কমার্স ব্যবসার শুরুর কিছু গাইডলাইন সম্পর্কে। যারা বুঝতে পারেননি তারা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ।

Read More
srhira10 June 16, 2024 0 Comments
Reach us on WhatsApp
1